শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৩

#HSC Exam-2014 Preparation Sub: Economics 2nd Paper এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র জাতীয় আয় প্রশ্ন : কোন দেশের জাতীয় আয় পরিমাপের সমস্যাবলী আলোচনা কর। উত্তর : উন্নত দেশগুলোতে জাতীয় আয় পরিমাপের সমস্যা কম হলেও অনুন্নত। উন্নয়নশীল দেশে এ অসুবিধা ব্যাপক। নিুে তা আলোচনা করা হল : ১। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের অভাব : জাতীয় আয়ের সঠিক হিসাবের জন্য নির্ভুল তথ্য প্রয়োজন হয়। কিন্তু অনুন্নত প্রশাসনিক কাঠামো, শিক্ষার নিুহার প্রভৃতি কারণে নির্ভুল তথ্য পাওয়া যায় না। ফলে জাতীয় আয় সঠিকভাবে পরিমাপ করা যায় না। ২। কম গণনাজনিত সমস্যা : অনেক ক্ষেত্রেই উৎপাদিত দ্রব্যের কিছু অংশ উৎপাদনকারী নিজে ভোগ করে। যেমন কৃষকেরা নিজেদের উৎপাদিত ফসলের কিছু অংশ ভোগ করে। ভোগকৃত দ্রব্যের মূল্য জাতীয় আয়ের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় না। ফলে প্রকৃত জাতীয় আয়ের হিসাব পাওয়া যায় না। ৩। ক্ষয়ক্ষতির খরচ নির্ধারণ : নীট জাতীয় আয় হিসাব করার সময় মূলধনের ক্ষয়ক্ষতির জন্য যে খরচ হয় তা মোট উৎপাদন থেকে বাদ দিতে হয়। কিন্তু উৎপাদন চলাকালে এরূপ খরচ সঠিকভাবে নির্ণয় করা খুবই কঠিন ব্যাপার। ৪। দ্বৈত গণনা সমস্যা : দ্বৈত গণনা সমস্যা জাতীয় আয় পরিমাপে বাধা সৃষ্টি করে । #প্রশ্ন : ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয়যোগ্য আয়ের মধ্যে পার্থক্য লিখ। উত্তর : ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয়যোগ্য আয়ের মধ্যে পার্থক্য : দেশের জনগণ বিভিন্ন পেশা বা ব্যবসা হতে আয় করে। কিন্তু জনগণ তাদের আয়ের সম্পূর্ণ অংশ নিজের প্রয়োজনে ইচ্ছামতো ব্যয় করতে পারে না। ব্যক্তির আয় থেকে তাকে বিভিন্ন প্রকার কর পরিশোধ করতে হয় এবং ঐসব কর পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। কর পরিশোধের পর অবশিষ্ট অর্থ ব্যক্তি ইচ্ছানুযায়ী স্বাধীনভাবে ব্যয় করতে পারে। কোন নির্দিষ্ট সময়ে ব্যক্তি বা পরিবারবর্গের চলতি আয়কে ব্যক্তিগত আয় বলা হয়। পক্ষান্তরে ব্যক্তিগত আয় হতে আয়কর ও অন্যান্য প্রত্যক্ষ কর বাদ দিয়ে যা অবশিষ্ট থাকে তাকেই ব্যয়যোগ্য আয় বলা হয়। ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয়যোগ্য আয়ের মধ্যে যেমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে, তেমনি তাদের মধ্যে কিছু পার্থক্যও আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন