শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৩

SSC Exam-2014 Preparation Sub: General Science ২০১৪ সালের এসএসসির প্রস্তুতি সাধারণ বিজ্ঞান নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও? প্রতিবছর শীতকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জলাশয়ে প্রচুর পাখি আসে। পাখিগুলোর বেশিরভাগই নানা প্রজাতির হাঁস। শীতকালের শুরু থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত এরা অবস্থান করে। গরমের শুরুতে চলে যায়। শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নয়, ঢাকা চিড়িয়াখানার জলাশয়েও এ ধরনের পাখি দেখা যায়। ক. এ পাখিগুলো কী নামে পরিচিত? খ. পাখিগুলো এ সময়ে আসার কারণ কী? গ. দেশের সব জলাশয়ে এ ধরনের পাখি দেখা যায় না কেন? ঘ. ‘শুধু আইন প্রণয়ন ও তার প্রয়োগই বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে যথেষ্ট নয়’- তোমার মতামত যুক্তিসহকারে উপস্থাপন কর। উত্তর ক : প্রতিবছর শীতকালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় জলাশয়ে যে পাখি আসে তা শীতের পাখি বা অতিথি পাখি বা Migratory birds নামে পরিচিত। উত্তর খ : পাখিগুলো সাধারণত শীতকালে উত্তরের হিমালয় পর্বতমালা, ইউরোপ ও সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আমাদের দেশে আসে। কারণ এ সময় ওইসব এলাকায় প্রচুর শীত বা বরফ পড়ে। ফলে তারা তাদের প্রয়োজনীয় খাবার পায় না। শুধু তাই নয়, এ সময় তারা বংশবৃদ্ধিও করতে পারে না। তাই তারা এ সময় আসে। উত্তর গ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা চিড়িয়াখানার জলাশয়ে প্রচুর শীতের পাখি দেখা যায়। শীতের এসব পাখির মধ্যে নানা প্রজাতির হাঁস অন্যতম, যেমন- পাতারী, খোঁপা হাঁস, ভূতি হাঁস ইত্যাদি। দেশের সব জলাশয়ে এসব পাখি দেখা যায় না, কারণ- র. সংরক্ষিত স্থান : আমরা জানি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চিড়িয়াখানা সরকারিভাবে শীতের পাখিদের জন্য সংরক্ষিত স্থান। এখানে পাখিগুলো নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে। তাই পাখিগুলো এসব স্থানে নিরাপত্তা পায় এবং প্রতিবছরই আসে। দেশের অন্যান্য স্থানে তারা নিরাপত্তা পায় না বলে যায় না। রর. পরিবেশ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চিড়িয়াখানার জলাশয় ওই হাঁসগুলোর জন্য অনুকূল পরিবেশের ব্যবস্থা করে। তাই হাঁসগুলো প্রতিবছর এখানেই আসে। আর তাছাড়া ওই জলাশয়ের বাস্তুতন্ত্র পাখিগুলোর জন্য অনুকূল ও পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ করে। উত্তর ঘ : শুধু আইন প্রণয়ন ও তার প্রয়োগই বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে যথেষ্ট নয়। কারণ এই আইন অমান্য করে অনেকে নির্বিচারে বন্যপ্রাণী শিকার ও হত্যা করে থাকে। বন্যপ্রাণী রফতানি করে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা এবং জীবিকা অর্জন করি। ফলে অধিক হারে বন্যপ্রাণী ধ্বংস করা হয়। এই লোভ থেকে বিরত থাকা উচিত। একই সঙ্গে দেশের জনগণকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা প্রয়োজন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য আমাদের উচিত, এদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। সর্বোপরি প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রেখে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা সম্ভব। শুধু প্রত্যক্ষভাবে নয়, পরোক্ষভাবেও বন্যপ্রাণীদের ক্ষতি করা হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আমরা প্রতিনিয়ত বৃক্ষ কর্তন করে আসছি। এতে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলের অভাব হচ্ছে। ফলে তাদের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। বন্যপ্রাণীদের প্রতি আন্তরিক হলে এরকম সমস্যার সৃষ্টি হতো না। এখানে আইন খাটিয়ে লাভ নেই। বরং সবাইকে সহানুভূতির পরিচয় দিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন